মাথা ব্যাথা বা মাইগ্রেন পর্যবেক্ষণ বেশ কঠিন, কারণ তা আগে থেকে বোঝা যায় না। ফলে গবেষকরা পরীক্ষাগারে একটি মাইগ্রেনের ব্যাথার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে পারেন না। তাঁরা মাইগ্রেনের জন্য ওষুধ প্রয়োগ করতে পারেন কিন্তু তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে।
অপরদিকে, ব্রেন ফ্রিজ ধরনের মাথা ব্যাথা পরীক্ষাগারে সহজেই সৃষ্টি করা যায়, আবার এটি সহজেই কমে যায় বলে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণে সহজ হয়। ১৩ জন সেচ্ছাসেবক এর সহযোগিতায় গবেষকরা পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেন। তাদের প্রত্যেককে ঠাণ্ডা পানি, পাইপ দিয়ে পান করতে দেয়া হয়। যখন ব্রেন ফ্রিজ ঘটতে থাকে তখন তাদের মস্তিস্ক আলট্রাসাইন্ড পদ্ধতির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, চোখের পেছনে অবস্থিত মস্তিস্কের (Anterior Celeberal Artery) নামক নালী দিয়ে অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহ ঘটে এবং রক্তনালীটি প্রসারিত হয়। ঠিক তখনই ব্রেন ফ্রিজ এর ফলে মস্তিস্কের টিস্যুতন্ত্রে অত্যাধিক চাপ পরে যেটি অত্যাধিক রক্ত প্রবাহের কারণে হয়ে থাকে। এর ফলে ব্যাথা অনুভূত হয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের মতামত, “যদি অন্যান্য মাথা ব্যাথাও এভাবে কাজ করে তাহলে রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করার ওষুধ সেবন করা উচিত, যা মস্তিস্কের টিস্যুতন্ত্রে চাপ কমিয়ে আনে এবং ব্যাথা দূর করে”।
No comments:
Post a Comment